“রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে স্থিতিশীলতার দিকে: অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা ও জনগণের প্রত্যাশা”
“অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ ও জনআকাঙ্ক্ষা: পথচলার সংকট ও সম্ভাবনা”
- আপডেট সময় : ০৮:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 100
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের সরকারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তবে, এই সরকারের কার্যক্রম কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা নয়, বরং জনগণের প্রত্যাশা পূরণেও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনকালীন সহিংসতা জনগণের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জনগণ চায় একটি নিরপেক্ষ, কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য সরকার, যা তাদের মৌলিক অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এই প্রেক্ষাপটে, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা আরও জটিল ও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- নিরপেক্ষতা বজায় রাখা: রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এড়ানো।
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষা: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধ।
- জনগণের আস্থা অর্জন: সরকারের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন।
- দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
- এই চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান করতে হলে সরকারের উচিত:
- দলীয় রাজনৈতিক সমঝোতা: সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠা।
- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ।
- জনগণের সাথে যোগাযোগ: জনগণের উদ্বেগ ও প্রত্যাশা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা নির্ভর করে তার কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার উপর। যদি এই সরকার জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, তবে তা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক হতে পারে।


















