আগে ছাত্র সংসদ, পরে জাতীয় নির্বাচন: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
- আপডেট সময় : ০২:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
- / 154
জাতীয় নির্বাচন কিংবা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “ছাত্রদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তারপর জাতীয় বা অন্যান্য নির্বাচন।”
গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুদান চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “ছাত্ররা দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে চায় এবং দেশ পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায়। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা প্রত্যাশা করছে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতির সংস্কারের দাবি জোরালোভাবে উঠলেও কোনো রাজনৈতিক দলই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে না। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যতবার কথা বলেছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তারা সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। ছাত্রদের বিষয়টিকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “আশা করি, আমাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না। আমরা সবাই দেশের উন্নতি চাই এবং দেশ পুনর্গঠনের জন্য কাজ করতে চাই। সমাজের সর্বস্তর থেকে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে দূর করতে হবে।”
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণদের বড় ভূমিকা থাকবে। আমাদের কর্মসংস্থানের দিকটি চিন্তা করতে হবে, কারণ এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। আন্দোলনের সূত্রপাতই ছাত্রদের দ্বারা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেই এই দাবি উঠেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে কী ভাবছে, তা নিয়ে আলোচনা নেই। ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। অথচ একটি রাজনৈতিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, ছাত্রদের সাথে কেন আলোচনা করতে হবে, সরকার আমাদের ডাকুক—এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা ফারজানা, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবীর, এবং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহসহ ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যরা।














