বাংলাদেশ ১২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Insaf World Banner 5

ট্রাইব্যুনালে ১৫ সেনা কর্মকর্তা, চারদিকজুড়ে কড়া নিরাপত্তা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • / 33

ছবি: সংগৃহীত

Insaf World Banner 4
"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একসঙ্গে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে। বুধবার সকালে ট্রাইব্যুনাল-১–এ তাদের আনার কথা রয়েছে।

Insaf World Banner 1

গত ৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই ১৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

সকালে ৬টায় তাদের ট্রাইব্যুনালে আনার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে হাজির করা সম্ভব হয়নি। তবে সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।

Insaf World Banner 2

নিরাপত্তার বলয় ঘিরে ট্রাইব্যুনাল
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও এপিবিএন সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সকাল ৬টার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।

অভিযোগ: গুমের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ
আসামিদের বিরুদ্ধে জেআইসি (Joint Interrogation Cell) এবং টিএফআই (Task Force Interrogation) সেলে ৩৪ জনকে গুমের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন টিএফআই সেলে এবং ১৩ জন জেআইসি সেলে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত।

প্রসিকিউশন জানায়, এই মামলাগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করেছে।

সেনাবাহিনীর অবস্থান: ‘নো কম্প্রোমাইজ উইথ ইনসাফ’
ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন,
“সেনাবাহিনী সবসময় ন্যায়ের পক্ষে। আমরা বিশ্বাস করি, আইনের প্রক্রিয়ায় সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা ১৫ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। তবে এলপিআরে থাকা মেজর জেনারেল কবীরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সাবজেল ঘোষণা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ক্যান্টনমেন্টের এমইএস ভবন নম্বর-৫৪ কে সাবজেল হিসেবে ঘোষণা করেছে।

যদি অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হন, তবে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে আত্মসমর্পণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩–এর আওতায় সম্ভব। এই আইন সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং দেশের সাধারণ আইন বা সামরিক আইনের আওতায় নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
Insaf World Banner 1
Insaf World Banner 2

ট্রাইব্যুনালে ১৫ সেনা কর্মকর্তা, চারদিকজুড়ে কড়া নিরাপত্তা

আপডেট সময় : ০৮:০৬:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদটি শেয়ার করুন :

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একসঙ্গে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে। বুধবার সকালে ট্রাইব্যুনাল-১–এ তাদের আনার কথা রয়েছে।

Insaf World Banner 1

গত ৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই ১৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

সকালে ৬টায় তাদের ট্রাইব্যুনালে আনার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে হাজির করা সম্ভব হয়নি। তবে সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।

Insaf World Banner 2

নিরাপত্তার বলয় ঘিরে ট্রাইব্যুনাল
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও এপিবিএন সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সকাল ৬টার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।

অভিযোগ: গুমের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ
আসামিদের বিরুদ্ধে জেআইসি (Joint Interrogation Cell) এবং টিএফআই (Task Force Interrogation) সেলে ৩৪ জনকে গুমের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন টিএফআই সেলে এবং ১৩ জন জেআইসি সেলে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত।

প্রসিকিউশন জানায়, এই মামলাগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করেছে।

সেনাবাহিনীর অবস্থান: ‘নো কম্প্রোমাইজ উইথ ইনসাফ’
ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন,
“সেনাবাহিনী সবসময় ন্যায়ের পক্ষে। আমরা বিশ্বাস করি, আইনের প্রক্রিয়ায় সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা ১৫ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। তবে এলপিআরে থাকা মেজর জেনারেল কবীরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সাবজেল ঘোষণা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ক্যান্টনমেন্টের এমইএস ভবন নম্বর-৫৪ কে সাবজেল হিসেবে ঘোষণা করেছে।

যদি অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হন, তবে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে আত্মসমর্পণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩–এর আওতায় সম্ভব। এই আইন সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং দেশের সাধারণ আইন বা সামরিক আইনের আওতায় নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :