ফরিদপুরে চোর সন্দেহে নির্যাতনে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১১:০৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
- / 197
ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্র আবরার জাওয়াদ দারুন নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ গেরদা গ্রামের সাহেববাড়ি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যায় দারুনকে দাফন করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, চোর সন্দেহে দারুনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এবং লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দারুন ভিয়েতনাম প্রবাসী কামরুল ইসলামের একমাত্র সন্তান। কামরুল ইসলাম আগে ডেসটিনিতে চাকরি করতেন এবং পরবর্তীতে ঢাকায় গিয়ে বিদেশ চলে যান। দারুনের মা দ্বিতীয় বিয়ে করায় সে তার দাদির কাছে চরকমলাপুরে থাকতো।
দারুনের চাচা মার্শাল টিটো জানান, গত সপ্তাহে দারুনকে শহরের শাহীন আবাসিক স্কুলে ভর্তি করা হয়। এরপর শুক্রবার তাকে বাসায় নিয়ে আসেন তারা। রবিবার রাতে সে নিখোঁজ হয়। পরদিন ফেসবুকে দেখা যায় যে, চোর সন্দেহে তাকে জোয়াইরের মোড়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত লোকজন পুলিশকে খবর দিলেও পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, জোয়াইরের মোড়ে সন্দেহভাজনভাবে ঘোরাফেরা করায় তাকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে একটি দোকানে রেখে গেলে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। দারুনের পরিবার জানায়, সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল এবং মা-বাবার বিচ্ছেদের কারণে তার ওপর মানসিক প্রভাব পড়েছিল।
মার্শাল টিটো জানান, দারুনকে আটকের সময় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে তারা জানতে পেরেছেন। তার দাদির বাড়ির পাশে থাকা প্রতিবেশী নান্টু খান বলেন, পুকুর থেকে লাশ তোলার সময় দারুনের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। তাদের ধারণা, তাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য দারুনের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নির্যাতনের প্রমাণ মিললে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।













