চাকসুর নেতৃত্বে আবারও ইসলামী ছাত্রশিবির
- আপডেট সময় : ০২:২০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
- / 102
আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নেতৃত্বে ফিরে এসেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের’ প্রার্থীরা ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে জয় লাভ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে ছাত্রশিবিরের মো. ইব্রাহিম হোসেন রনি ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন পান ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট। জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব ৮ হাজার ৩১ ভোটে জয়ী হন, আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত হোসেন পান ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।
এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পান ৫ হাজার ৪৫ ভোট। ভিপি ইব্রাহিম বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের এমফিলের শিক্ষার্থী। জিএস সাঈদ বিন হাবিব বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক এবং ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। চাকসুর ২৬টি পদে ৪১৫ জন প্রার্থী এবং হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদে ৪৯৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন জানান, “চাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।”
চাকসুর মোট ২৬টি পদের মধ্যে মাত্র একটি পদে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। সহ–খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব জয়ী হন।
দিনভর ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হলেও ফলাফল ঘোষণার আগে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে বাইরে অবস্থান নেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তবে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। রাত গভীর হলে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
২৪’র গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রজন্মের ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে চাকসু। প্রথমবার ভোট দেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলেও চাকসুতে ভোট দিতে পেরে গর্ববোধ করছি—এটাই আমাদের গণতন্ত্রের সূচনা।”
















