দেশজুড়ে সতর্কবার্তা: গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা
- আপডেট সময় : ০১:৩২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / 68
রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশব্যাপী পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই) লক্ষ্য করে সম্ভাব্য হামলার শঙ্কায় এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

🔹 অগ্নিকাণ্ডের পরই সতর্কতা জারি
গত শনিবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এর পরপরই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা এখন টহল জোরদার, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো এবং সন্দেহভাজনদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
🔹 অপরাধ বিশ্লেষকের মতামত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন,
“বিমানবন্দর বা ইপিজেডের মতো সংবেদনশীল স্থানে পরপর আগুন লাগা উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রতিটি ঘটনার পেছনের কারণ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সঠিক তদন্ত না হলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, যা জননিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।”
🔹 কেপিআই কী?
কেপিআই (Key Point Installation) হলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতাভুক্ত স্থান। বর্তমানে দেশে মোট ৫৮৭টি কেপিআই রয়েছে, যার মধ্যে বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, বিমানবন্দর, বিটিভি, কারাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরও বহু স্থাপনা রয়েছে।
১৯৯৭ সালে ইংরেজিতে প্রণীত কেপিআই নীতিমালা ২০১৩ সালে বাংলায় হালনাগাদ করা হয়। নীতিমালায় নিরাপত্তা জোরদার, সিসিটিভি স্থাপন, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, দর্শনার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ, এবং প্রয়োজনে সশস্ত্র আনসার নিয়োগের বিধান রয়েছে।
🔹 নিরাপত্তা জোরদারই এখন মূল লক্ষ্য
দেশের কৌশলগত ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে তারা প্রস্তুত।
















