৩৩ বছর পর রংপুর প্রেসক্লাবে নতুন ১০৫ সদস্য অর্ন্তভূক্ত
- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
- / 71
রংপুর প্রেসক্লাবের সদস্যভুক্তির ৩৩ বছরের রুদ্ধদ্বার অবশেষে খুলেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় নতুন ১০৫ জন সাংবাদিককে সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে রংপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের সঞ্চার হয়েছে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও প্রেসক্লাবের প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেন। এতে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত ১০৫ জন সাংবাদিককে সদস্য করা হয়।
রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অনিল চন্দ্র বর্মণ জানান, প্রেসক্লাব রংপুর ১৯৯১ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত হয়। তবে পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ নিয়ম-কানুনের জটিলতায় দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে নতুন সদস্য অর্ন্তভুক্তি বন্ধ ছিল।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত সংগঠনগুলোর গঠনতন্ত্র সংশোধন, অডিট ও কমিটির অনুমোদন নিয়মিত করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রেসক্লাব রংপুরের পূর্ববর্তী কমিটি এসব বিধি-বিধান না মানায় প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজন হয়।
এরপর সমাজসেবা অধিদপ্তর রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রমিজ আলমকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনি দায়িত্ব নিয়ে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম পুনরায় চালু করেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশে প্রেসক্লাবের চলমান প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা কেটে গিয়ে রংপুর প্রেসক্লাব আবারও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হলো।
রংপুরের সাংবাদিকরা দ্রুত সাধারণ সভা আহ্বান করে গঠনতন্ত্র সংশোধন, অডিট কার্যক্রম শুরু ও নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানান।
প্রশাসক রমিজ আলম বলেন, “সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুমোদিত নিয়মে রংপুরের ১০৫ জন সাংবাদিককে নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন, গঠনতন্ত্র সংশোধন ও অডিট কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।”
গণমাধ্যম কর্মীরা রংপুর প্রেসক্লাবের এই উন্মুক্ততার উদ্যোগকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দেন এবং কিছু সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের নিন্দা জানান।













