প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও মানবাধিকারের লড়াই—ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ কোন পথে?
ন্যায়বিচারের নতুন দিগন্ত: ২১ শতকের বিশ্বে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
- / 133
২১ শতকের বিশ্বে ন্যায়বিচার একটি ক্রমবর্ধমান আলোচনার বিষয়। বৈশ্বিক রাজনীতি, প্রযুক্তির অগ্রগতি, মানবাধিকার আন্দোলন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বিস্তার বিচারব্যবস্থার ধারণাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিচার করছে, অন্যদিকে প্রযুক্তির ব্যবহার ন্যায়বিচারকে সহজলভ্য করছে।
তবে বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো এখনও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের নিয়ম মানতে অনীহা দেখাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা কিংবা এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ ও সংঘাতের পরও অনেক অপরাধীর বিচার হচ্ছে না। একই সঙ্গে সাইবার অপরাধ, ডিজিটাল নজরদারি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভুল প্রয়োগ ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আশার দিকও রয়েছে। ডিজিটাল কোর্ট, অনলাইন শুনানি, ব্লকচেইন-ভিত্তিক প্রমাণ সংরক্ষণ এবং মানবাধিকারের প্রতি ক্রমবর্ধমান সচেতনতা নতুন প্রজন্মকে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থাশীল করছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তিনির্ভর বিচারব্যবস্থা ভবিষ্যতে সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

২১ শতকের বিশ্বে ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে রাষ্ট্রগুলোর সদিচ্ছা, প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় সমষ্টিগত প্রচেষ্টার ওপর। অন্যথায় ন্যায়বিচার কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে।

















