বাংলাদেশ ০৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Insaf World Banner

৮ গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে গুম তদন্ত কমিশন

স্টাফ রিপোর্টার ইনসাফ বিশ্ব
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / 276

ছবি: ইনসাফ বিশ্ব

Insaf World Banner
"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আটটি গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে গুম তদন্ত কমিশন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, তদন্তের স্বার্থে আটককেন্দ্রগুলো কারা পরিচালনা করতো, সে সম্পর্কে কোনো বিশদ তথ্য দেওয়া হয়নি।

Insaf World Banner 1

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন জানান, র‌্যাব পরিচালিত একটি সেল পাওয়া গেছে, যার আকার মাত্র ৩ দশমিক ৫ বাই ৪ ফুট। সেখানে আলো ঢোকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না এবং একটি ড্রেন ছাড়া কোনো স্যানিটেশন সুবিধাও ছিল না। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দিদের বছরের পর বছর আটকে রাখা হতো।

কমিশন এ পর্যন্ত গুম সংক্রান্ত ৪০০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছে। এর মধ্যে ১৭২টি ঘটনায় র‌্যাব, ৩৭টি ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), ২৬টি ঘটনায় ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ৫৫টি ঘটনায় গোয়েন্দা শাখা, ২৫টি ঘটনায় পুলিশ এবং ৬৮টি ঘটনায় অন্যান্য সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

Insaf World Banner 2

কমিশনের আরেক সদস্য নাবিলা ইদ্রিস বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রমাণ নষ্ট করছে। তাদের কেউ কেউ সেল ও দেয়াল ভেঙে ফেলার মাধ্যমে প্রমাণ মুছে দিচ্ছে। এভাবে বাহিনীগুলোর সহযোগিতা না পাওয়ায় তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

আরো পড়ুন

সংবাদটি শেয়ার করুন :
Insaf World Banner 1
Insaf World Banner 2

৮ গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে গুম তদন্ত কমিশন

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আটটি গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে গুম তদন্ত কমিশন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, তদন্তের স্বার্থে আটককেন্দ্রগুলো কারা পরিচালনা করতো, সে সম্পর্কে কোনো বিশদ তথ্য দেওয়া হয়নি।

Insaf World Banner 1

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন জানান, র‌্যাব পরিচালিত একটি সেল পাওয়া গেছে, যার আকার মাত্র ৩ দশমিক ৫ বাই ৪ ফুট। সেখানে আলো ঢোকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না এবং একটি ড্রেন ছাড়া কোনো স্যানিটেশন সুবিধাও ছিল না। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দিদের বছরের পর বছর আটকে রাখা হতো।

কমিশন এ পর্যন্ত গুম সংক্রান্ত ৪০০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছে। এর মধ্যে ১৭২টি ঘটনায় র‌্যাব, ৩৭টি ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), ২৬টি ঘটনায় ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ৫৫টি ঘটনায় গোয়েন্দা শাখা, ২৫টি ঘটনায় পুলিশ এবং ৬৮টি ঘটনায় অন্যান্য সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

Insaf World Banner 2

কমিশনের আরেক সদস্য নাবিলা ইদ্রিস বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রমাণ নষ্ট করছে। তাদের কেউ কেউ সেল ও দেয়াল ভেঙে ফেলার মাধ্যমে প্রমাণ মুছে দিচ্ছে। এভাবে বাহিনীগুলোর সহযোগিতা না পাওয়ায় তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

আরো পড়ুন

সংবাদটি শেয়ার করুন :