সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ও ভূমিকা
দুই মাসে ৬ হাজার অস্ত্র উদ্ধার
- আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
- / 341
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারা দেশে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ৬ হাজারেরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৬০ দিনের জন্য সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। গতকাল ছিল এ ক্ষমতার ৫৯তম দিন।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও সিদ্ধান্তের ক্ষমতা
ঢাকায় সেনা সদর দপ্তরের একটি সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কতদিন থাকবে, তা সরকার নির্ধারণ করবে। তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পর অপরাধের হার কমেছে এবং আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও তা প্রত্যাশার তুলনায় কম। এছাড়া পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছে।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা
গত দুই মাসে সেনাবাহিনী বিভিন্ন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ১৪১টি, সরকারি সংস্থা সংক্রান্ত ৮৬টি, এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত ৯৮টি ঘটনা অন্তর্ভুক্ত। দেশের প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যেও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সহায়তা করেছে। কর্নেল ইন্তেখাব জানান, বিভিন্ন কারখানায় স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করা হচ্ছে।

মানবাধিকার সুরক্ষায় সেনাবাহিনীর সতর্কতা
সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী সচেতন রয়েছে। কর্নেল ইন্তেখাব জানান, মানবাধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে এবং সেনাসদস্যদের এমন কোনো কার্যক্রমে যুক্ত হতে নিষেধ করা হয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে পারে।
সম্পর্ক উন্নয়নে তৎপরতা ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতা
কর্নেল ইন্তেখাব জানান, পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনার পরও উভয় পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রয়েছে। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কারণে চাকরিচ্যুত ও পলাতক সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়াউল হকের বিষয়ে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন দূতাবাস, কারখানা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাবাহিনী নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখছে।













