জুমা শুধু সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন নয়, বরং ক্ষমা ও রহমত লাভের এক বিশেষ সুযোগ।
জুমার দিনের ফজিলত: মুসলমানদের জন্য রহমতের সেরা উপহার
- আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 91
ইসলামে শুক্রবারকে বলা হয় ‘সপ্তাহের সেরা দিন’। হাদিসে এসেছে, মহান আল্লাহ এই দিনে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করেছেন, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই পৃথিবীতে অবতরণ করানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কিয়ামতও সংঘটিত হবে শুক্রবারে।
মুসলমানদের জন্য জুমার নামাজ একটি বড় সমাবেশ, যেখানে ভাইভাই একত্রিত হয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও দোয়ায় অংশ নেয়। এ দিন ফজরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় রয়েছে। তাই মুসলমানদের উচিত, জুমার দিন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা, কুরআন তিলাওয়াত করা, দরুদ পাঠে ব্যস্ত থাকা এবং নামাজে মনোযোগী হওয়া।
হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি শুক্রবার দিনে গোসল করবে, সুন্দর পোশাক পরবে, মসজিদে এসে মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনবে এবং নামাজ আদায় করবে, তার এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।” (বুখারি ও মুসলিম)

আজকের দিনে আমরা প্রায়ই জুমার প্রকৃত মাহাত্ম্য ভুলে যাই। অনেকেই এটিকে শুধু ছুটির দিন বা বিশ্রামের সময় হিসেবে দেখে থাকি। অথচ জুমার নামাজকে গুরুত্ব সহকারে পালন করলে তা আমাদের আত্মাকে শুদ্ধ করে এবং সমাজে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
অতএব, জুমা আমাদের জন্য কেবল একটি নামাজ নয়, বরং রহমত ও মাগফিরাতের দিন। মুসলমানদের উচিত এ দিনের প্রতিটি মুহূর্তকে ইবাদতে ব্যয় করা এবং আল্লাহর রহমত লাভে সচেষ্ট থাকা।


















