বাংলাদেশ ১২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Insaf World Banner

ঘূর্ণিঝড় দানার আঘাতে লন্ডভন্ড উড়িষ্যা উপকূল, পশ্চিমবঙ্গে একজনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 170
Insaf World Banner
"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

ভারতের ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল, বিশেষ করে উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে। বুধবার রাতে উড়িষ্যা উপকূলে ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়, যা শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে। উড়িষ্যার উপকূল অঞ্চল এই ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা সহ্য করে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়।

Insaf World Banner 1

ঘূর্ণিঝড় দানার আঘাতে লন্ডভন্ড উড়িষ্যা উপকূল, পশ্চিমবঙ্গে একজনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উড়িষ্যা উপকূল জুড়ে গাছ উপড়ে গেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে, এবং প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে একজনের মৃত্যু হলেও মূলত সেখানে তেমন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাজ্য সরকার জানায়, উড়িষ্যায় তুলনামূলকভাবে ক্ষতি বেশি হলেও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

Insaf World Banner 2

উড়িষ্যার ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, বালেশ্বর এবং জগৎসিংহপুর জেলাগুলোতে ঝড়ের সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার। এসব অঞ্চলে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে একের পর এক গাছ ভেঙে পড়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, এবং কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।

ভুবনেশ্বরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ের প্রভাব দেখা দিয়েছে। তীব্র ঝড়ের কারণে শহরের স্পেশাল রিলিফ কমিশনারের কার্যালয়ের একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। পুরীর সমুদ্র সৈকতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং পর্যটকরা হোটেলবন্দি হয়ে পড়েছেন। নিরাপত্তার জন্য বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উড়োজাহাজ চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, নন্দীগ্রাম এবং খেজুরিসহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তুলনামূলক বেশি ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও ঝড়ের তাণ্ডব তেমনভাবে দেখা যায়নি। কলকাতায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৎপর ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং উপদ্রুত অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সোমনাথ দত্ত জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা স্থলভাগে প্রবেশের পর দুর্বল হতে শুরু করে, যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ তেমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। তবে তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নির্ভর করে স্থানীয় বায়ুমণ্ডল এবং জলীয় বাষ্পের অবস্থার উপর।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
Insaf World Banner 1
Insaf World Banner 2

ঘূর্ণিঝড় দানার আঘাতে লন্ডভন্ড উড়িষ্যা উপকূল, পশ্চিমবঙ্গে একজনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:২২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

ভারতের ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল, বিশেষ করে উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে। বুধবার রাতে উড়িষ্যা উপকূলে ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়, যা শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে। উড়িষ্যার উপকূল অঞ্চল এই ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা সহ্য করে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়।

Insaf World Banner 1

ঘূর্ণিঝড় দানার আঘাতে লন্ডভন্ড উড়িষ্যা উপকূল, পশ্চিমবঙ্গে একজনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উড়িষ্যা উপকূল জুড়ে গাছ উপড়ে গেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে, এবং প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে একজনের মৃত্যু হলেও মূলত সেখানে তেমন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাজ্য সরকার জানায়, উড়িষ্যায় তুলনামূলকভাবে ক্ষতি বেশি হলেও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

Insaf World Banner 2

উড়িষ্যার ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, বালেশ্বর এবং জগৎসিংহপুর জেলাগুলোতে ঝড়ের সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার। এসব অঞ্চলে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে একের পর এক গাছ ভেঙে পড়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, এবং কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।

ভুবনেশ্বরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ের প্রভাব দেখা দিয়েছে। তীব্র ঝড়ের কারণে শহরের স্পেশাল রিলিফ কমিশনারের কার্যালয়ের একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। পুরীর সমুদ্র সৈকতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং পর্যটকরা হোটেলবন্দি হয়ে পড়েছেন। নিরাপত্তার জন্য বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উড়োজাহাজ চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, নন্দীগ্রাম এবং খেজুরিসহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তুলনামূলক বেশি ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও ঝড়ের তাণ্ডব তেমনভাবে দেখা যায়নি। কলকাতায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৎপর ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং উপদ্রুত অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সোমনাথ দত্ত জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা স্থলভাগে প্রবেশের পর দুর্বল হতে শুরু করে, যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ তেমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। তবে তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নির্ভর করে স্থানীয় বায়ুমণ্ডল এবং জলীয় বাষ্পের অবস্থার উপর।

সংবাদটি শেয়ার করুন :