ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত সংগ্রহ করবে সংবিধান সংস্কার কমিশন
- আপডেট সময় : ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
- / 154
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ বলেছেন, নতুন সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত ও প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। নাগরিকদের সুবিধার্থে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে প্রত্যেকে নিজের মতামত জানাতে পারবেন। রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আলী রীয়াজ জানান
এই ওয়েবসাইট আগামী মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, “ওয়েবসাইটের ব্যাপক প্রচার চালানোর জন্য গণমাধ্যমগুলোর সহযোগিতা চাই।” প্রেস রিলিজের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ঠিকানা জানানো হবে।
তিনি আরও জানান, “আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে লিখিত মতামত ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর জন্য আহ্বান জানাব। সরকার সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। কমিশন সরাসরি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে না, তবে তাদের প্রতিটি লিখিত প্রস্তাব নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে কমিশনের সুপারিশে প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট থাকবে।”

এ পর্যায়ে সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ
আইনজীবী, সিভিল সোসাইটি সংগঠনের প্রতিনিধি, তরুণ চিন্তাবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতিও রয়েছে। আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী সপ্তাহ থেকেই অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে।
সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছে, তাদেরকে সুপারিশ তৈরিতে যুক্ত করা হবে না।
আলী রীয়াজ আরও জানান, বর্তমান সংবিধান পর্যালোচনা করে জনআকাঙ্খার প্রতিফলনের লক্ষ্যে সামগ্রিক সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, পুনর্বিন্যাস ও পুনর্লিখনের প্রস্তাব তৈরি করা হবে। সাংবিধানিক সংস্কারের লক্ষ্য হিসেবে তিনি সাতটি প্রধান উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করেন, যার মধ্যে রয়েছে:
১. ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতিশ্রুত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন।
২. সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
৩. ভবিষ্যতে যেকোনো ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধ।
৪. রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতকরণ।
৫. রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও প্রয়োজনীয় ক্ষমতায়ন।
৬. রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণ।
















