বিজ্ঞান-অগ্রযাত্রায় ঐতিহাসিক পরিবর্তন
সবার পরামর্শ নিয়ে এগোতে চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- আপডেট সময় : ০৭:১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
- / 189
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে এবং এই অর্জনকে কার্যকরী করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে প্রস্তুত। তিনি বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদানের জন্য নতুন পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিয়ে বলেন, সবার পরামর্শ ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হলে এটি সম্ভব—যেমন সত্যেন্দ্রনাথ বসু আইনস্টাইনকে লিখতে পেরেছিলেন সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকায় ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদ্যাপন: ঢাকার উত্তরাধিকার’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে এ আয়োজন করে।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ মুক্তবুদ্ধির চর্চায় ফিরেছে। এখন লক্ষ্য রাখতে হবে বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখার, যা সম্ভব নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে। তিনি বলেন, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আবিষ্কারের প্রেক্ষাপট এখনো শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগায় এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবকে উচ্চ স্থানে নিয়ে যায়।

বসু এবং আইনস্টাইনের এই ঐতিহাসিক আবিষ্কার শতবর্ষে পদার্পণ করেছে, যা আমাদের পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, এ আবিষ্কারের গুরুত্ব বোঝাতেই ২০০১ সালে বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের গবেষণায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আজকের বিপ্লবী ছাত্র-জনতার জন্য এই উদযাপনই সেরা প্রেরণা হতে পারে।
ড. ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সেই ঢাকার শান্ত পরিবেশ হয়তো ফিরবে না, তবে গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।












