বারনই নদী রক্ষায় রাজশাহীতে আলোচনা সভা ও মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ১২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
- / 62
রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বারনই নদী আজ মারাত্মক দূষণ ও দখলের শিকার। এক সময়ের প্রাণবন্ত এ নদী এখন দুর্গন্ধময় এক “বিষাক্ত নদী”তে পরিণত হয়েছে। এই নদী রক্ষায় করণীয় নির্ধারণে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে পবা উপজেলার নওহাটা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে “জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বারনই নদী রক্ষায় করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকালে নদীপাড়ে ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা পরিবেশনার মাধ্যমে নদী দূষণের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়। শিল্পীরা গানে ও সংলাপে নদীর আর্তনাদ প্রকাশ করে মানুষকে সচেতন হতে আহ্বান জানান। পরবর্তীতে “নদীর জন্য একসাথে— নদী রক্ষায় প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে এএলআরডি, রুলফাও ও বেলা। এতে সহযোগিতা করে বুকস, মাসাউস, পরিবর্তন ও দিনের আলো হিজড়া সংঘসহ ১২টি সংগঠন।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্জ্যপানি ও বাজারের ময়লা-আবর্জনা সরাসরি নদীতে ফেলার কারণে বারনই নদী আজ প্রাণহীন। পানিতে নামলে চর্মরোগ হয়, মাছ বাঁচে না, আর দুর্গন্ধে মানুষ জানালা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
সাংস্কৃতিককর্মী মোস্তফা সরকার বিজলী বলেন, “নদীর দুর্গন্ধে এলাকার মানুষ জানালা বন্ধ রাখতে বাধ্য।”
সাবেক নারী কাউন্সিলর মোমেনা আহমেদ নদীর সীমানা নির্ধারণ ও পিলার স্থাপনের দাবি জানান।
নলডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ জহুরুল ইসলাম বলেন, “বারনই নদীতে রাবার ড্যাম নির্মাণের ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে নৌযান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।”
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, “নদী ভরাট করে দখল সহজ করতে অনেকেই ময়লা ফেলার সুযোগ নিচ্ছেন।”
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা নদী রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
সভাপতির বক্তব্যে রুলফাও-এর নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, “নদী বাঁচলে বাঁচবে রাজশাহীর সংস্কৃতি, কৃষি ও জীবন।”
অনুষ্ঠানে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল শেখসহ রাজশাহী ও নাটোরের বিভিন্ন উপজেলার প্রেসক্লাব সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।















