বাংলাদেশ ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Insaf World Banner

সনদ স্রেফ রাজনৈতিক দলিল নয়, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভিত্তি হতে হবে।

আইনি ভিত্তি চাই: কেন ‘জুলাই সনদ’-এ সই করলো না এনসিপি

স্টাফ রিপোর্টার ইনসাফ বিশ্ব
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / 107

ছবি: এনসিপি লোগো

Insaf World Banner
"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে সম্প্রতি সংসদ ভবনে ‘জুলাই সনদ’-এ সই করেছে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। তবে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শরিক জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং চারটি বাম সংগঠন এই সনদে সই করা থেকে বিরত থাকে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সনদের আইনি ভিত্তি এবং সুস্পষ্ট বাস্তবায়ন পদ্ধতি ছাড়া এই সই কেবলই একটি ‘আনুষ্ঠানিকতা’।

Insaf World Banner 1

এনসিপি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ব্যাখ্যায় জানায়, তারা জুলাই সনদকে নিছক রাজনৈতিক সমঝোতা বা ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি’ হিসেবে দেখে না। তাদের মতে, এই সনদের প্রধানতম কাজ

হলো বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক ভিত্তি নির্মূল করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিশ্চিত করা। এই কারণে সনদের সুস্পষ্ট আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি থাকা অত্যাবশ্যক।

Insaf World Banner 2

বাস্তবায়ন পদ্ধতির নিশ্চয়তা প্রয়োজন

এনসিপি জোর দিয়ে বলেছে যে, সনদের অঙ্গীকারনামায় বাস্তবায়ন পদ্ধতির কোনো উল্লেখ নেই। যদিও সকল দলই ‘জুলাই সনদ আদেশ > গণভোট > গাঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন আগামী সংসদ (দ্বৈত ভূমিকা)’- এই প্রক্রিয়ায় সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে একমত হয়েছে। এনসিপি মনে করে, এই পদ্ধতি উল্লেখ না করে সনদে সই করা মানে ‘জনগণের সাথে প্রতারণা’ করা, কারণ অতীতে রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়শই নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।

সনদে সই করার জন্য এনসিপি’র তিনটি শর্ত:

এনসিপি তাদের সই নিশ্চিত করার জন্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তিনটি সুস্পষ্ট দাবি উত্থাপন করেছে: ১. সনদ ও গণভোটের প্রশ্ন: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে জনগণের কাছে আগে প্রকাশ করতে হবে। ২. প্রধান উপদেষ্টার আদেশ: জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জারি করতে হবে। ৩. গণভোটের রায় চূড়ান্ত: গণভোটের মাধ্যমে সনদ পাস হলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর কোনো কার্যকরিতা থাকবে না। জনগণ কর্তৃক প্রদত্ত ‘গাঠনিক ক্ষমতা’ বলে আগামী সংসদ নতুন সংবিধান (বাংলাদেশ সংবিধান, ২০২৬) প্রণয়ন করবে।

এনসিপি স্পষ্টভাবে জানায়, এই বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা ছাড়া সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি নিশ্চিত হবে না। তারা সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লিখিত হবে না। তারা সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লিখিত বিষয়সমূহের স্পষ্ট উল্লেখ নিশ্চিত হলেই কেবল সনদে স্বাক্ষর করবে। এনসিপি’র এই অবস্থান বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সই না করা দলগুলোর চেয়ে মৌলিকভাবে ভিন্ন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
Insaf World Banner 1
Insaf World Banner 2

সনদ স্রেফ রাজনৈতিক দলিল নয়, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ভিত্তি হতে হবে।

আইনি ভিত্তি চাই: কেন ‘জুলাই সনদ’-এ সই করলো না এনসিপি

আপডেট সময় : ১১:৩২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদটি শেয়ার করুন :

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে সম্প্রতি সংসদ ভবনে ‘জুলাই সনদ’-এ সই করেছে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। তবে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শরিক জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং চারটি বাম সংগঠন এই সনদে সই করা থেকে বিরত থাকে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সনদের আইনি ভিত্তি এবং সুস্পষ্ট বাস্তবায়ন পদ্ধতি ছাড়া এই সই কেবলই একটি ‘আনুষ্ঠানিকতা’।

Insaf World Banner 1

এনসিপি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ব্যাখ্যায় জানায়, তারা জুলাই সনদকে নিছক রাজনৈতিক সমঝোতা বা ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি’ হিসেবে দেখে না। তাদের মতে, এই সনদের প্রধানতম কাজ

হলো বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক ভিত্তি নির্মূল করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিশ্চিত করা। এই কারণে সনদের সুস্পষ্ট আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি থাকা অত্যাবশ্যক।

Insaf World Banner 2

বাস্তবায়ন পদ্ধতির নিশ্চয়তা প্রয়োজন

এনসিপি জোর দিয়ে বলেছে যে, সনদের অঙ্গীকারনামায় বাস্তবায়ন পদ্ধতির কোনো উল্লেখ নেই। যদিও সকল দলই ‘জুলাই সনদ আদেশ > গণভোট > গাঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন আগামী সংসদ (দ্বৈত ভূমিকা)’- এই প্রক্রিয়ায় সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে একমত হয়েছে। এনসিপি মনে করে, এই পদ্ধতি উল্লেখ না করে সনদে সই করা মানে ‘জনগণের সাথে প্রতারণা’ করা, কারণ অতীতে রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়শই নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।

সনদে সই করার জন্য এনসিপি’র তিনটি শর্ত:

এনসিপি তাদের সই নিশ্চিত করার জন্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তিনটি সুস্পষ্ট দাবি উত্থাপন করেছে: ১. সনদ ও গণভোটের প্রশ্ন: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে জনগণের কাছে আগে প্রকাশ করতে হবে। ২. প্রধান উপদেষ্টার আদেশ: জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জারি করতে হবে। ৩. গণভোটের রায় চূড়ান্ত: গণভোটের মাধ্যমে সনদ পাস হলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর কোনো কার্যকরিতা থাকবে না। জনগণ কর্তৃক প্রদত্ত ‘গাঠনিক ক্ষমতা’ বলে আগামী সংসদ নতুন সংবিধান (বাংলাদেশ সংবিধান, ২০২৬) প্রণয়ন করবে।

এনসিপি স্পষ্টভাবে জানায়, এই বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা ছাড়া সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি নিশ্চিত হবে না। তারা সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লিখিত হবে না। তারা সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লিখিত বিষয়সমূহের স্পষ্ট উল্লেখ নিশ্চিত হলেই কেবল সনদে স্বাক্ষর করবে। এনসিপি’র এই অবস্থান বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সই না করা দলগুলোর চেয়ে মৌলিকভাবে ভিন্ন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :