চানখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য
আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি না হলে হত্যার নির্দেশ: ট্রাইব্যুনালে আসিফ মাহমুদের সাক্ষ্য
- আপডেট সময় : ১১:০৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
- / 88
রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সরকারি ও প্রশাসনিক ব্যক্তিদের দায়ী করে সাক্ষ্য দিয়েছেন এলজিআরডি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আসিফ মাহমুদ জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তিনি নিজ চোখে পুলিশের গুলিতে দুজনের মৃত্যুর দৃশ্য দেখেন।
তিনি বলেন, “আমি চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ছিলাম। আন্দোলনের একপর্যায়ে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। পরে আমাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে জানানো হয়—প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের আনা হয়েছে। আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি না হলে হত্যার নির্দেশ দেওয়া আছে।”

আসিফ মাহমুদের দাবি, “চানখারপুলে ওইদিন পুলিশের গুলিতে ছয়জন নিহত হন। চাইনিজ রাইফেল ও শর্টগান ব্যবহার করা হয়। সেদিন দুপুরে খবর পাই, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেছেন।”
এই ঘটনায় শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, এবং গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের দায়ী করে সাক্ষ্য দেন তিনি।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করে আগামী ১৬ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামীমসহ অন্যান্য আইনজীবী।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঘটনায় গত ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইমরুল, মো. আরশাদ হোসেন, মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
















