বাংলাদেশ ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Insaf World Banner

বৃদ্ধি পেয়েছে ইঁদুরের উৎপাত

দাকোপে পোকার আক্রমণে বিপর্যস্ত কৃষকরা

খুলনা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • / 332

ছবি: ইনসাফ বিশ্ব সংগৃহীত

Insaf World Banner
"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

চলতি মৌসুমে খুলনার দাকোপ উপজেলার আমন ধান ক্ষেতগুলোতে মাজরা ও লেদা পোকার আক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের বেলায় ইঁদুরের আক্রমণও কৃষকদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে, কারণ তারা ধান গাছ কেটে ধ্বংস করছে। পোকা ও ইঁদুর দমনে বিভিন্ন কীটনাশক ও বিষ ব্যবহার করেও কার্যকর সমাধান পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে আমন ফসলের ক্ষতির শঙ্কায় হাজারো কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

Insaf World Banner 1

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দাকোপ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবছর ১৯ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপসি জাতের ধান ১৭ হাজার ১৮৫ হেক্টর, স্থানীয় জাত ১ হাজার ৯৮০ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাত ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ এলাকায় মাজরা ও লেদা পোকার পাশাপাশি ইঁদুরের উপদ্রব তীব্র আকার ধারণ করেছে। দিনের বেলা ইঁদুর মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে, আর রাতে ধান গাছ কেটে নষ্ট করছে, ফলে গাছ শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে।

আনন্দনগর এলাকার কৃষক গোপাল গোলদার জানান, তিনি এবছর ৪৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। তবে তার প্রায় ৩ বিঘা জমির ধান গাছ ইঁদুরে কেটে ফেলেছে। পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণে আমনের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না।

Insaf World Banner 2

চুনকুড়ি এলাকার কৃষক জীবননান্দ মণ্ডল বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে মাজরা, লেদা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ বেড়েছে। একসময় একবার কীটনাশক স্প্রে করলেই কাজ হতো, কিন্তু এবছর তিন থেকে চারবার স্প্রে করেও ফলন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে চাষাবাদে খরচ বেশি হওয়ায় তারা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে রয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, এবছর ইঁদুরে ১৯৩ হেক্টর জমির ধান গাছ কেটে ফেলেছে। মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও তা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করছে না। সমস্যা সমাধানে কৃষকদের সচেতন করতে ওয়ার্ডভিত্তিক উঠান বৈঠক ও ভ্রাম্যমাণ কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত কীটনাশক রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন

সংবাদটি শেয়ার করুন :
Insaf World Banner 1
Insaf World Banner 2

বৃদ্ধি পেয়েছে ইঁদুরের উৎপাত

দাকোপে পোকার আক্রমণে বিপর্যস্ত কৃষকরা

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

চলতি মৌসুমে খুলনার দাকোপ উপজেলার আমন ধান ক্ষেতগুলোতে মাজরা ও লেদা পোকার আক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের বেলায় ইঁদুরের আক্রমণও কৃষকদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে, কারণ তারা ধান গাছ কেটে ধ্বংস করছে। পোকা ও ইঁদুর দমনে বিভিন্ন কীটনাশক ও বিষ ব্যবহার করেও কার্যকর সমাধান পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে আমন ফসলের ক্ষতির শঙ্কায় হাজারো কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

Insaf World Banner 1

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দাকোপ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবছর ১৯ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপসি জাতের ধান ১৭ হাজার ১৮৫ হেক্টর, স্থানীয় জাত ১ হাজার ৯৮০ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাত ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ এলাকায় মাজরা ও লেদা পোকার পাশাপাশি ইঁদুরের উপদ্রব তীব্র আকার ধারণ করেছে। দিনের বেলা ইঁদুর মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে, আর রাতে ধান গাছ কেটে নষ্ট করছে, ফলে গাছ শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে।

আনন্দনগর এলাকার কৃষক গোপাল গোলদার জানান, তিনি এবছর ৪৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। তবে তার প্রায় ৩ বিঘা জমির ধান গাছ ইঁদুরে কেটে ফেলেছে। পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণে আমনের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না।

Insaf World Banner 2

চুনকুড়ি এলাকার কৃষক জীবননান্দ মণ্ডল বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে মাজরা, লেদা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ বেড়েছে। একসময় একবার কীটনাশক স্প্রে করলেই কাজ হতো, কিন্তু এবছর তিন থেকে চারবার স্প্রে করেও ফলন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে চাষাবাদে খরচ বেশি হওয়ায় তারা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে রয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, এবছর ইঁদুরে ১৯৩ হেক্টর জমির ধান গাছ কেটে ফেলেছে। মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও তা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করছে না। সমস্যা সমাধানে কৃষকদের সচেতন করতে ওয়ার্ডভিত্তিক উঠান বৈঠক ও ভ্রাম্যমাণ কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত কীটনাশক রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন

সংবাদটি শেয়ার করুন :