দ্রব্যমূল্য কমাতে কিছুটা সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৫:০৬:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
- / 254
উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে, তবে ধীরে ধীরে দ্রব্যমূল্য কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি অফিসিয়ালি ১ শতাংশ কমার তথ্য জানিয়ে দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সালেহউদ্দিন। এর আগে তিনি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাস পার হলেও নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমাতে পারলেও, দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি কমাতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, “আমরা কিছু ডিসিশন নিয়েছি। তেলের ওপর শুল্ক কমিয়েছি, আজ চিনির ওপরও শুল্ক কমানো হলো। পাশাপাশি মসুর ডাল কেনারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজি আমদানি এবং কৃষির সার কেনারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “দ্রব্যমূল্য কমাতে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়া জটিল এবং এর পেছনে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করেই বাড়েনি, বাজারের মনিটরিং, পণ্য উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক এখানে ভূমিকা রাখে। ফলে, দ্রব্যমূল্য কমাতে সময় লাগবে, তবে ধৈর্য হারাবেন না।”

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির বিষয়টি উত্থাপিত হলে উপদেষ্টা জানান, “চাঁদাবাজি কমেছে, তবে একেবারে বন্ধ হয়নি। হাতবদলও পুরোপুরি থামেনি, যার প্রভাব বাজারে কিছুটা পড়ছে।” তিনি এই বিষয়ে আরও কঠোর মনিটরিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। শুরু থেকেই তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যে মূল্যস্ফীতির হার রেখে গিয়েছিল, তা কিছুটা কমেছে, তবে এখনো জনগণের মধ্যে সন্তোষ তৈরি হয়নি। ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
সরকার বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের প্রতিটি জেলায় টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এ টাস্কফোর্স নিয়মিত বাজার, আড়ৎ, গুদাম ও সরবরাহ চেইনের অন্যান্য স্থানের সরেজমিন পরিদর্শন করবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়টি তদারক করবে। উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পণ্যের দাম ন্যূনতম রাখতে টাস্কফোর্স কাজ করবে। প্রতিদিন মনিটরিং শেষে একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠানো হবে।
সরকারের এ উদ্যোগগুলো বাজারের স্থিতিশীলতা আনতে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, ধীরে ধীরে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং জনগণ স্বস্তি পাবে।

















