মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের আহ্বান
সেনাবাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করতে বিচার অপরিহার্য: নাহিদ ইসলাম
- আপডেট সময় : ০৭:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
- / 78
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সেনাবাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।”
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক পোস্টে এ বক্তব্য দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতীক। জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসার ও সৈনিকরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে তিনি মনে করেন, সংস্কার ও ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া সবার জন্য সমান হতে হবে—কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার ঊর্ধ্বে নয়।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা সেনাবাহিনীর মধ্যেও প্রভাব ফেলেছিল। “কিছু কর্মকর্তা, বিশেষত র্যাব ও ডিজিফাই–এর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন,” যোগ করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলি চালানো একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই বাস্তবতার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক দলীয়করণের সংস্কৃতি, যা এখন ভাঙার সময় এসেছে।”
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ একটি ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছে—প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কমুক্ত ও পুনর্গঠন করার। এতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে।
সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “আমরা চাই না বিচারব্যবস্থা ও সেনাবাহিনী মুখোমুখি হোক। দেশবিরোধী চক্রগুলো সংঘাত চায়, যাতে তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিল করতে পারে। আমরা রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ যেমন চাই না, তেমনি সেনাবাহিনীতেও কোনো রাজনৈতিক প্রভাব চাই না।”
সবশেষে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, “আমরা ৫ আগস্ট থেকে দেশের স্থিতিশীলতা ও ঐক্য রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন লক্ষ্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও দূর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং অর্থনৈতিক সংস্কার সাধন।”













