বাংলাদেশ ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর বিভাগ চাই: উত্তাল পদযাত্রা ও জনসমাবেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০১:২১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / 49

ছবি: পদযাত্রা

"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

আর কোনো টালবাহানা নয়, অবিলম্বে ঘোষণা চাই’ – এমন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে ফরিদপুর শহর। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ২০২৫ ইং তারিখে ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে এক বিশাল পদযাত্রা ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আন্দোলনকে এই অঞ্চলের জনগণের ‘প্রাণের দাবি’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত প্রশাসনিক ঘোষণার জোর দাবি জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের সূচনা ও বিস্তার:

বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ‘ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর ব্যানারে

এই ঐতিহাসিক পদযাত্রা শুরু হয়। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ, যাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ পেশাজীবী। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, যেমন মুজিব সড়ক, নিউ মার্কেট এলাকা ইত্যাদি প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাব চত্বরে এসে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

বক্তাদের কণ্ঠে ক্ষোভ ও আল্টিমেটাম:

সমাবেশে বক্তারা অত্যন্ত কঠোর ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সমন্বয়ক

আবরার নাদিম ইতু তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন,

“ফরিদপুর বিভাগ এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের যৌক্তিক ও ন্যায্য অধিকার। বছরের পর বছর ধরে কেন এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তটি আটকে রাখা হয়েছে? জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। অবিলম্বে ঘোষণা করা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না, বৃহত্তর ও লাগাতার কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেব।”

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আলতাফ হোসেন জোর দিয়ে বলেন, “ফরিদপুর একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল, যার রয়েছে অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক গুরুত্ব। এটি বিভাগ হওয়ার সব ধরনের শর্ত পূরণ করে। প্রশাসনকে বুঝতে হবে, এই দাবি কোনো ব্যক্তিগত

এজেন্ডা নয়, এটি গণমানুষের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা।”

দাবির পেছনের যুক্তি:

সমাবেশে বক্তারা ফরিদপুর বিভাগের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, বর্তমানে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর—এই পাঁচ জেলা নিয়ে বিভাগ গঠিত হলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে। এতে সেবার মান উন্নত হবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে এবং এই অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ অবকাঠামো দ্রুত এগিয়ে যাবে।

অন্যান্যদের মধ্যে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শহিদুল ইসলাম বাবুল, একে কিবরিয়া স্বপন, এবং সৈয়দ

জুলফিকার হোসেন জুয়েলও বক্তব্য রাখেন। তারা সকলে একমত পোষণ করে বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে সক্রিয় থাকবেন।

জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিটি এখন গণ-আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

ফরিদপুর বিভাগ চাই: উত্তাল পদযাত্রা ও জনসমাবেশ

আপডেট সময় : ০১:২১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদটি শেয়ার করুন :

আর কোনো টালবাহানা নয়, অবিলম্বে ঘোষণা চাই’ – এমন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে ফরিদপুর শহর। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ২০২৫ ইং তারিখে ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে এক বিশাল পদযাত্রা ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আন্দোলনকে এই অঞ্চলের জনগণের ‘প্রাণের দাবি’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত প্রশাসনিক ঘোষণার জোর দাবি জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের সূচনা ও বিস্তার:

বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ‘ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর ব্যানারে

এই ঐতিহাসিক পদযাত্রা শুরু হয়। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ, যাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ পেশাজীবী। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, যেমন মুজিব সড়ক, নিউ মার্কেট এলাকা ইত্যাদি প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাব চত্বরে এসে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

বক্তাদের কণ্ঠে ক্ষোভ ও আল্টিমেটাম:

সমাবেশে বক্তারা অত্যন্ত কঠোর ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সমন্বয়ক

আবরার নাদিম ইতু তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন,

“ফরিদপুর বিভাগ এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের যৌক্তিক ও ন্যায্য অধিকার। বছরের পর বছর ধরে কেন এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তটি আটকে রাখা হয়েছে? জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। অবিলম্বে ঘোষণা করা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না, বৃহত্তর ও লাগাতার কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেব।”

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আলতাফ হোসেন জোর দিয়ে বলেন, “ফরিদপুর একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল, যার রয়েছে অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক গুরুত্ব। এটি বিভাগ হওয়ার সব ধরনের শর্ত পূরণ করে। প্রশাসনকে বুঝতে হবে, এই দাবি কোনো ব্যক্তিগত

এজেন্ডা নয়, এটি গণমানুষের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা।”

দাবির পেছনের যুক্তি:

সমাবেশে বক্তারা ফরিদপুর বিভাগের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, বর্তমানে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর—এই পাঁচ জেলা নিয়ে বিভাগ গঠিত হলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে। এতে সেবার মান উন্নত হবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে এবং এই অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ অবকাঠামো দ্রুত এগিয়ে যাবে।

অন্যান্যদের মধ্যে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শহিদুল ইসলাম বাবুল, একে কিবরিয়া স্বপন, এবং সৈয়দ

জুলফিকার হোসেন জুয়েলও বক্তব্য রাখেন। তারা সকলে একমত পোষণ করে বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে সক্রিয় থাকবেন।

জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিটি এখন গণ-আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :