সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি–চৌহালী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনজুর কাদের। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দলটির ঘোষিত প্রথম দফার ১২৫ আসনের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

বিকেলে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বিএনপি ছেড়ে এনসিপিতে যোগদানের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান। সেখানে তিনি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা, নতুন রাজনৈতিক চিন্তা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই তিনি এনসিপিকে বেছে নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

১৯৮৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর মনজুর কাদের জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং একই বছর পাবনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি টানা দুইবার এমপি ছিলেন এবং ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ওই বছর পাবনা-১ থেকে এবং ২০০১ সালে সিরাজগঞ্জ-৬ (তৎকালীন চৌহালী–শাহজাদপুর) আসন থেকে বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সীমানা পুনর্নির্ধারণের পর এই আসনটি সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি–চৌহালী) নামে গঠিত হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন।

এবারও তিনি বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে দলটি এই আসনের জন্য কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমকে প্রার্থী করে। এরপর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা দল মঙ্গলবার গ্রহণ করে।

পদত্যাগের পরই তিনি এনসিপিতে যোগ দিয়ে মনোনয়ন পান। এখন এই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বিএনপি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এবং জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আলী আলম।

এনসিপির একই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহিন সরকারও তার মনোনয়ন পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানান।