পুতিনের কঠোর সতর্কবার্তা:
অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোকে পাল্টা আঘাতের হুঁশিয়ারি
- আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
- / 194
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা দেশগুলোর বিরুদ্ধে মস্কো পাল্টা আঘাত হানতে বাধ্য হবে। রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।
পুতিন সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ইউক্রেন এসব ক্ষেপণাস্ত্র রুশ সীমান্ত লক্ষ্য করে ব্যবহার করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই ধরনের তৎপরতা বৈশ্বিক সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। পুতিন আরও বলেন, ‘মস্কোর অধিকার রয়েছে এসব দেশের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার।’
পাল্টা হামলার ঘোষণা
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেন রুশ সীমান্ত লক্ষ্য করে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর রাশিয়া দিনিপ্রো শহরে পাল্টা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের অস্ত্র সরবরাহের জবাবে একটি নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের আরও পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।’ পুতিন জানান, ১৯ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদনের পর ইউক্রেন ছয়টি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এছাড়া ২১ নভেম্বর ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো হয়।
পশ্চিমাদের ভূমিকা ও হুঁশিয়ারি
পুতিন তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ওপর সরাসরি দায় চাপিয়ে বলেন, তারা ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এর ফলে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হয়ে বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে।
লন্ডনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কেলিনও ব্রিটেনের ভূমিকা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন। তিনি স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ব্রিটেন ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে। ন্যাটো এবং যুক্তরাজ্যের সমর্থন ছাড়া ইউক্রেন রুশ সীমান্তে এমন হামলা চালাতে পারত না।’
রুশ প্রেসিডেন্টের
এই সতর্কবার্তা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য স্পষ্ট বার্তা। ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত থাকলে মস্কো কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে এই হুঁশিয়ারি নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।


















