বাংলাদেশ ০৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Insaf World Banner

ইমরান খানের মুক্তির জন্য মার্কিন আইনপ্রণেতাদের চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 197
Insaf World Banner
"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন অর্ধশতাধিক মার্কিন আইনপ্রণেতা। ইমরান খানকে মুক্তি দিতে পাকিস্তানের ওপর ওয়াশিংটনের প্রভাব ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Insaf World Banner 1

রিপোর্ট অনুযায়ী,

বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইমরান খানের মুক্তির জন্য মার্কিন কংগ্রেসের ৬০ জনেরও বেশি ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ব্যবহার করে ইমরান খানসহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে এবং পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

চিঠির নেতৃত্ব দেন মার্কিন রিপ্রেজেন্টেটিভ গ্রেগ ক্যাসার। তিনি বলেন, এটি মার্কিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইমরান খানের মুক্তির জন্য প্রথম সম্মিলিত আহ্বান।

Insaf World Banner 2

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ইমরান খান কারাবন্দি রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অযোগ্য ঘোষণা হন। ইমরান খান অভিযোগ করেন যে, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

ইমরান খানের ক্ষমতায় থাকার সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং তিনি তার সরকারের পতনের জন্য তাদের দায়ী করেন। সামরিক বাহিনী অবশ্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা

পাকিস্তানের চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘও এ নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৯ মে দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয়, যা পাকিস্তানে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তার গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা চারদিন ধরে চলতে থাকে এবং এতে কমপক্ষে ১০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সেনা সদর দপ্তরে প্রবেশ করে এবং সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে

ইমরান খান মুক্তি পেলেও তার দল পিটিআইয়ের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হয়। সহিংসতা ও সামরিক স্থাপনায় হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শত শত পিটিআই কর্মী ও সিনিয়র নেতাকে কারাগারে বন্দি করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
Insaf World Banner 1
Insaf World Banner 2

ইমরান খানের মুক্তির জন্য মার্কিন আইনপ্রণেতাদের চিঠি

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন অর্ধশতাধিক মার্কিন আইনপ্রণেতা। ইমরান খানকে মুক্তি দিতে পাকিস্তানের ওপর ওয়াশিংটনের প্রভাব ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Insaf World Banner 1

রিপোর্ট অনুযায়ী,

বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইমরান খানের মুক্তির জন্য মার্কিন কংগ্রেসের ৬০ জনেরও বেশি ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ব্যবহার করে ইমরান খানসহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে এবং পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

চিঠির নেতৃত্ব দেন মার্কিন রিপ্রেজেন্টেটিভ গ্রেগ ক্যাসার। তিনি বলেন, এটি মার্কিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইমরান খানের মুক্তির জন্য প্রথম সম্মিলিত আহ্বান।

Insaf World Banner 2

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ইমরান খান কারাবন্দি রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অযোগ্য ঘোষণা হন। ইমরান খান অভিযোগ করেন যে, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

ইমরান খানের ক্ষমতায় থাকার সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং তিনি তার সরকারের পতনের জন্য তাদের দায়ী করেন। সামরিক বাহিনী অবশ্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা

পাকিস্তানের চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘও এ নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৯ মে দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয়, যা পাকিস্তানে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তার গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা চারদিন ধরে চলতে থাকে এবং এতে কমপক্ষে ১০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সেনা সদর দপ্তরে প্রবেশ করে এবং সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে

ইমরান খান মুক্তি পেলেও তার দল পিটিআইয়ের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হয়। সহিংসতা ও সামরিক স্থাপনায় হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শত শত পিটিআই কর্মী ও সিনিয়র নেতাকে কারাগারে বন্দি করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :