১৫ সেনা কর্মকর্তা কারাগারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ পলাতকদের হাজিরার নির্দেশ
- আপডেট সময় : ১০:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
- / 32
১৫ সেনা কর্মকর্তা কারাগারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ পলাতকদের হাজিরার নির্দেশ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার (২২ অক্টোবর) এক আদেশে ১৫ জন কর্মরত ও এলপিআরভুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলের অধীনে সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ
এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ পলাতকদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

একইসঙ্গে মামলার অন্যতম আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত আগামী ২০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর গুম ও খুনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ প্রধানসহ ২৫ জন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।
আর্মি হেডকোয়ার্টারের ব্রিফিংয়ে যা জানা গিয়েছিল
এর আগে গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসে সেনা সদরের এক ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে ইতোমধ্যে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে এলপিআরের একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়েছিল। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন নির্দেশনা মেনে সেনা সদরে এসেছিলেন। এলপিআরে থাকা একজনসহ এই ১৫ জন সেনা হেফাজতে ছিলেন। বাকি ৯ জন অবসরে গেছেন এবং একজন আত্মগোপনে আছেন বলে জানানো হয়।




























