ফরিদপুর বোয়ালমারী: বিএনপি-র রণক্ষেত্র, কার্যালয়ে আগুন, আহত ২৫
- আপডেট সময় : ০৯:০৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
- / 62
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াবদা মোড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এই সহিংসতা শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তাণ্ডব
সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়াও, বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ১৫টি মোটরসাইকেল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আশপাশের প্রায় ১০-১২টি দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই ধ্বংসযজ্ঞে এলাকায় চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

সংঘর্ষের নেপথ্যে: আধিপত্য ও মনোনয়ন দ্বন্দ্ব
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রমতে, এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মূলে রয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং আসন্ন দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলা তীব্র বিরোধ। সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি হলো—সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ এবং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ। সম্প্রতি দলীয় মনোনয়ন ও কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করলে, ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি সেই উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও থমথমে পরিস্থিতি
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাসিরুল ইসলাম গ্রুপের শত শত নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওয়াবদা মোড়ে ঝুনু সমর্থিত অফিসে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের মধ্যে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনাজুর রহমান লিপনসহ ২৫ জন রয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস প্রথমে বাধা পেলেও, পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বরাত দিয়ে জানা গেছে, গুরুতর আহত তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।


















