বাংলাদেশ ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Insaf World Banner

সোপান: এক দেশপ্রেমিকের নীরব উপাখ্যান : পর্ব ০৭

লেখক: ইমরান হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • / 43

ছবি : সোপান

Insaf World Banner
"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

(পর্ব ০৭ : খ্যাতির ভার এবং নৈতিকতার পরীক্ষা)

Insaf World Banner 1

বিশ্ববিদ্যালয়ে হৃদয়ের উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি তার কাছে যেন এক দ্বিমুখী তলোয়ার হয়ে আসে। একদিকে এটি তার স্বপ্ন—স্বাধীন গবেষণা প্রকৌশলী হওয়ার পথে এক নিশ্চিত সোপান তৈরি করে, অন্যদিকে এটি তার বিনয় ও নম্রতার কঠিন পরীক্ষা নিতে শুরু করে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং শিক্ষাবিদদের কাছে তার নাম পরিচিত হয়ে ওঠে। এই সময়েই হৃদয় নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, তার সমস্ত সফলতা কেবল আল্লাহ্‌র দয়া এবং এই খ্যাতি যেন তাকে অহংকারী না করে, বরং দায়িত্বশীল করে তোলে।

হৃদয়ের সেই বন্যা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাফল্য তাকে জাতীয় পর্যায়ে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ এনে দেয়। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। হৃদয় সেখানে তার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি এবং ব্যতিক্রমী সমাধান উপস্থাপনের মাধ্যমে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল—অন্যদের ভুল ধরিয়ে না দিয়ে, বরং তাদের চিন্তাভাবনাকে সম্মান জানিয়ে নিজের সমাধানটি উপস্থাপন করা।

Insaf World Banner 2

কর্মশালায় নিলুফা নামের একজন তরুণী স্থপতি হৃদয়ের উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় গভীরভাবে মুগ্ধ হয়। নিলুফা নিজেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করতে আগ্রহী ছিল এবং হৃদয়ের দেশপ্রেম ও নিঃস্বার্থ কাজে একাত্মতা খুঁজে পায়। নিলুফা হৃদয়ের সঙ্গে কাজের জন্য একটি যৌথ প্রস্তাব দিতে চায়, যা ধীরে ধীরে তার মনে এক আবেগপ্রবণ আকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়। হৃদয়ের চোখে নিলুফার দিকে কোনো আগ্রহ ছিল না, তার মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে নিলুফার পেশাগত প্রস্তাব এবং দেশের কল্যাণের দিকে নিবদ্ধ ছিল।

নিলুফা হৃদয়কে সরাসরি একটি বড় কনফারেন্সে তাদের গবেষণাটি উপস্থাপনের প্রস্তাব দেয়, যা বিদেশে অনুষ্ঠিত হবে। হৃদয় অত্যন্ত বিনয়ের সাথে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সে বিশ্বাস করত, তার প্রথম কাজ হলো নিজের দেশের মানুষকে সেবা করা। বিদেশে খ্যাতি অর্জনের চেয়ে তার কাছে জরুরি ছিল দেশের মাটির সঙ্গে যুক্ত থেকে সমস্যা সমাধান করা। তার এই সিদ্ধান্তে নিলুফা বিস্মিত হয়, তবে হৃদয়ের প্রতি তার শ্রদ্ধা আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।

এই খ্যাতি হৃদয়ের জীবনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রভাবশালী ছাত্রনেতা হৃদয়কে তাদের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। তারা হৃদয়ের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে চেয়েছিল। হৃদয় অত্যন্ত দৃঢ়তা, সাহস ও নৈতিকতার সাথে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে, তার দেশপ্রেম কোনো দলের প্রতি নয়, বরং দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি। তার এই দৃঢ় অবস্থান তাকে সাময়িকভাবে ঝুঁকি দিলেও তার চরিত্রকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

হৃদয় এই সময়ে বুঝতে পারে, প্রকৌশল জ্ঞান দিয়ে দেশের অবকাঠামো গড়ার পাশাপাশি মানুষকে নৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ করাও সমান জরুরি। সে তার বন্ধুদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে স্থানীয় যুবকদের জন্য মাঝে মাঝে একটি পাঠচক্র শুরু করে। এই পাঠচক্রের উদ্দেশ্য ছিল—যুবকদের মধ্যে দেশের ইতিহাস, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। এটি ছিল তার নীরবে দেশসেবার আরেকটি সোপান।

এই পাঠচক্রে অংশগ্রহণকারী একজন সাধারণ ছাত্র একদিন হৃদয়কে প্রশ্ন করে, কেন সে এত নাম-যশ পাওয়ার পরও এত সাদামাটা জীবন যাপন করে। হৃদয় তখন উত্তর দেয়, “আল্লাহ্‌র একজন প্রকৃত গোলাম কখনো খ্যাতির জন্য কাজ করে না। এই খ্যাতি আমার নয়, এটি আমার কাজের ফল। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করছি। অহংকার ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মানুষের জন্য করা কাজ চিরস্থায়ী।” তার এই নম্রতা যুবকদের মনে গভীর রেখাপাত করে।

হৃদয় তার উচ্চশিক্ষার পাঠকে কেবল বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, হাতে-কলমে প্রয়োগ শুরু করে। বন্ধু শফিককে সঙ্গে নিয়ে সে বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় প্রকৌশল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে শুরু করে। বিশেষ করে পানির ব্যবস্থাপনা, রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং স্বল্প খরচে বাসস্থানের ক্ষেত্রে তারা প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে। এই কাজটি ছিল তার ভবিষ্যতের স্বাধীন গবেষণা প্রকৌশলী ও পরামর্শক হওয়ার প্রাথমিক ধাপ।

জুঁই এবং নিলুফা দুজনেই হৃদয়ের এই নিঃস্বার্থ কাজে নীরবে তাকে সমর্থন করে যাচ্ছিল। তারা হৃদয়ের প্রতি তাদের আকর্ষণকে প্রকাশ্যে না এনে তার সংগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও সম্পদ সরবরাহ করত। তাদের এই আচরণ হৃদয়ের চারিত্রিক গুণাবলীতে আকৃষ্ট হওয়ার ফল ছিল। হৃদয় কখনোই পেছনে ফিরে দেখত না, কারণ তার পুরো দৃষ্টি ছিল সামনের দিকে—দেশের জন্য তৈরি করা তার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যের দিকে।

এভাবেই হৃদয়ের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ধীরে ধীরে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং বৃহত্তর দায়িত্বের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তার নৈতিকতা, সাহস এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস তাকে সব ধরনের প্রলোভন ও ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। তার নীরব উপাখ্যান তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক নতুন আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দেশপ্রেমিকদের জন্য এক নতুন ‘সোপান’ তৈরি করে।


চলবে…….

সংবাদটি শেয়ার করুন :
Insaf World Banner 1
Insaf World Banner 2

সোপান: এক দেশপ্রেমিকের নীরব উপাখ্যান : পর্ব ০৭

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদটি শেয়ার করুন :

(পর্ব ০৭ : খ্যাতির ভার এবং নৈতিকতার পরীক্ষা)

Insaf World Banner 1

বিশ্ববিদ্যালয়ে হৃদয়ের উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি তার কাছে যেন এক দ্বিমুখী তলোয়ার হয়ে আসে। একদিকে এটি তার স্বপ্ন—স্বাধীন গবেষণা প্রকৌশলী হওয়ার পথে এক নিশ্চিত সোপান তৈরি করে, অন্যদিকে এটি তার বিনয় ও নম্রতার কঠিন পরীক্ষা নিতে শুরু করে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং শিক্ষাবিদদের কাছে তার নাম পরিচিত হয়ে ওঠে। এই সময়েই হৃদয় নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, তার সমস্ত সফলতা কেবল আল্লাহ্‌র দয়া এবং এই খ্যাতি যেন তাকে অহংকারী না করে, বরং দায়িত্বশীল করে তোলে।

হৃদয়ের সেই বন্যা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাফল্য তাকে জাতীয় পর্যায়ে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ এনে দেয়। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। হৃদয় সেখানে তার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি এবং ব্যতিক্রমী সমাধান উপস্থাপনের মাধ্যমে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল—অন্যদের ভুল ধরিয়ে না দিয়ে, বরং তাদের চিন্তাভাবনাকে সম্মান জানিয়ে নিজের সমাধানটি উপস্থাপন করা।

Insaf World Banner 2

কর্মশালায় নিলুফা নামের একজন তরুণী স্থপতি হৃদয়ের উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় গভীরভাবে মুগ্ধ হয়। নিলুফা নিজেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করতে আগ্রহী ছিল এবং হৃদয়ের দেশপ্রেম ও নিঃস্বার্থ কাজে একাত্মতা খুঁজে পায়। নিলুফা হৃদয়ের সঙ্গে কাজের জন্য একটি যৌথ প্রস্তাব দিতে চায়, যা ধীরে ধীরে তার মনে এক আবেগপ্রবণ আকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়। হৃদয়ের চোখে নিলুফার দিকে কোনো আগ্রহ ছিল না, তার মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে নিলুফার পেশাগত প্রস্তাব এবং দেশের কল্যাণের দিকে নিবদ্ধ ছিল।

নিলুফা হৃদয়কে সরাসরি একটি বড় কনফারেন্সে তাদের গবেষণাটি উপস্থাপনের প্রস্তাব দেয়, যা বিদেশে অনুষ্ঠিত হবে। হৃদয় অত্যন্ত বিনয়ের সাথে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সে বিশ্বাস করত, তার প্রথম কাজ হলো নিজের দেশের মানুষকে সেবা করা। বিদেশে খ্যাতি অর্জনের চেয়ে তার কাছে জরুরি ছিল দেশের মাটির সঙ্গে যুক্ত থেকে সমস্যা সমাধান করা। তার এই সিদ্ধান্তে নিলুফা বিস্মিত হয়, তবে হৃদয়ের প্রতি তার শ্রদ্ধা আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।

এই খ্যাতি হৃদয়ের জীবনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রভাবশালী ছাত্রনেতা হৃদয়কে তাদের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। তারা হৃদয়ের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে চেয়েছিল। হৃদয় অত্যন্ত দৃঢ়তা, সাহস ও নৈতিকতার সাথে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় যে, তার দেশপ্রেম কোনো দলের প্রতি নয়, বরং দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি। তার এই দৃঢ় অবস্থান তাকে সাময়িকভাবে ঝুঁকি দিলেও তার চরিত্রকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

হৃদয় এই সময়ে বুঝতে পারে, প্রকৌশল জ্ঞান দিয়ে দেশের অবকাঠামো গড়ার পাশাপাশি মানুষকে নৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ করাও সমান জরুরি। সে তার বন্ধুদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে স্থানীয় যুবকদের জন্য মাঝে মাঝে একটি পাঠচক্র শুরু করে। এই পাঠচক্রের উদ্দেশ্য ছিল—যুবকদের মধ্যে দেশের ইতিহাস, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। এটি ছিল তার নীরবে দেশসেবার আরেকটি সোপান।

এই পাঠচক্রে অংশগ্রহণকারী একজন সাধারণ ছাত্র একদিন হৃদয়কে প্রশ্ন করে, কেন সে এত নাম-যশ পাওয়ার পরও এত সাদামাটা জীবন যাপন করে। হৃদয় তখন উত্তর দেয়, “আল্লাহ্‌র একজন প্রকৃত গোলাম কখনো খ্যাতির জন্য কাজ করে না। এই খ্যাতি আমার নয়, এটি আমার কাজের ফল। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করছি। অহংকার ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মানুষের জন্য করা কাজ চিরস্থায়ী।” তার এই নম্রতা যুবকদের মনে গভীর রেখাপাত করে।

হৃদয় তার উচ্চশিক্ষার পাঠকে কেবল বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, হাতে-কলমে প্রয়োগ শুরু করে। বন্ধু শফিককে সঙ্গে নিয়ে সে বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় প্রকৌশল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে শুরু করে। বিশেষ করে পানির ব্যবস্থাপনা, রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং স্বল্প খরচে বাসস্থানের ক্ষেত্রে তারা প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে। এই কাজটি ছিল তার ভবিষ্যতের স্বাধীন গবেষণা প্রকৌশলী ও পরামর্শক হওয়ার প্রাথমিক ধাপ।

জুঁই এবং নিলুফা দুজনেই হৃদয়ের এই নিঃস্বার্থ কাজে নীরবে তাকে সমর্থন করে যাচ্ছিল। তারা হৃদয়ের প্রতি তাদের আকর্ষণকে প্রকাশ্যে না এনে তার সংগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও সম্পদ সরবরাহ করত। তাদের এই আচরণ হৃদয়ের চারিত্রিক গুণাবলীতে আকৃষ্ট হওয়ার ফল ছিল। হৃদয় কখনোই পেছনে ফিরে দেখত না, কারণ তার পুরো দৃষ্টি ছিল সামনের দিকে—দেশের জন্য তৈরি করা তার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যের দিকে।

এভাবেই হৃদয়ের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ধীরে ধীরে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং বৃহত্তর দায়িত্বের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তার নৈতিকতা, সাহস এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস তাকে সব ধরনের প্রলোভন ও ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। তার নীরব উপাখ্যান তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক নতুন আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দেশপ্রেমিকদের জন্য এক নতুন ‘সোপান’ তৈরি করে।


চলবে…….

সংবাদটি শেয়ার করুন :