বাংলাদেশ ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Insaf World Banner

প্রশাসনের নীরবতায় কক্সবাজারে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা

এম এ সাত্তার, কক্সবাজার প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / 58

ছবি: বৌদ্ধ মন্দির সড়কে পৃথক দুই দোকান থেকে মাদক সংগ্রহে মাদকাসক্তদের উপচে পড়া ভিড়। ছবি-গণংযোগ

Insaf World Banner
"ইনসাফ বিশ্ব" পত্রিকার নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

কক্সবাজারের শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের নীরবতায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক কেনাবেচা। বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, গোলদিঘি, কিয়াংপাড়া, বড়বাজার, মেথরপাট্টি ও ৬ নং মগচিতাপাড়া এলাকায় প্রতিদিনই চলছে অবাধ মাদক ব্যবসা। স্থানীয় সূত্র জানায়, পুলিশের একাংশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব ব্যবসা বিকাশ লাভ করেছে।

Insaf World Banner 1

বৌদ্ধ মন্দির সড়কের গলিতে ঢুকলেই সহজেই পাওয়া যায় চোলাই মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা। সন্ধ্যা নামলেই এসব এলাকায় জমে ওঠে মাদকাসক্তদের আড্ডা। চাউলবাজার, কিয়াংপাড়া ও বড়বাজারের বিভিন্ন দোকান ও ঘরবাড়িতে চলছে মদ ও ইয়াবার প্রকাশ্য বিক্রি। স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার পর এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষ চলাচলে ভয় পায়।

১৩ অক্টোবর রাতে পৌর এলাকার চাউলবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, আল সালাম মার্কেটের পশ্চিম পাশে গলিতে অন্তত চারটি স্থানে মাদক বিক্রি ও মদের আসর বসানো হচ্ছে। বার্মিজ স্কুল রোড থেকে বৌদ্ধ মন্দির সড়ক পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি গলিতেই মাদকের লেনদেন চলে। চা দোকানিদের অনেকে বিষয়টি জানলেও মুখ খুলতে চান না।

Insaf World Banner 2

সরাসরি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বৌদ্ধ মন্দির সড়কের একটি দোকান ও পাশের গলির নিচতলায় দুই হিন্দু মহিলার তত্ত্বাবধানে চলছে মদ বিক্রি। সেখানে কেউ দাঁড়িয়ে মদ পান করছে, কেউ বোতলে ভরে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক চালক ও যাত্রী তিন চাকার গাড়ি রাস্তার পাশে রেখে মদের দোকানে ঢুকে পড়ছেন, ফলে যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস খান বলেন, “আমি মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।” তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা ও উপ-সহকারী পরিচালক সৌমেন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যের যোগসাজশেই এই অবৈধ ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের নীরবতা ও দুর্বল নজরদারির কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন প্রকাশ্যে লেনদেন করছে। ফলে কক্সবাজার শহরটি এখন মাদক ব্যবসার এক ‘ওপেন মার্কেট’-এ পরিণত হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
Insaf World Banner 1
Insaf World Banner 2

প্রশাসনের নীরবতায় কক্সবাজারে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা

আপডেট সময় : ১০:২৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদটি শেয়ার করুন :

কক্সবাজারের শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের নীরবতায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক কেনাবেচা। বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, গোলদিঘি, কিয়াংপাড়া, বড়বাজার, মেথরপাট্টি ও ৬ নং মগচিতাপাড়া এলাকায় প্রতিদিনই চলছে অবাধ মাদক ব্যবসা। স্থানীয় সূত্র জানায়, পুলিশের একাংশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব ব্যবসা বিকাশ লাভ করেছে।

Insaf World Banner 1

বৌদ্ধ মন্দির সড়কের গলিতে ঢুকলেই সহজেই পাওয়া যায় চোলাই মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা। সন্ধ্যা নামলেই এসব এলাকায় জমে ওঠে মাদকাসক্তদের আড্ডা। চাউলবাজার, কিয়াংপাড়া ও বড়বাজারের বিভিন্ন দোকান ও ঘরবাড়িতে চলছে মদ ও ইয়াবার প্রকাশ্য বিক্রি। স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার পর এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষ চলাচলে ভয় পায়।

১৩ অক্টোবর রাতে পৌর এলাকার চাউলবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, আল সালাম মার্কেটের পশ্চিম পাশে গলিতে অন্তত চারটি স্থানে মাদক বিক্রি ও মদের আসর বসানো হচ্ছে। বার্মিজ স্কুল রোড থেকে বৌদ্ধ মন্দির সড়ক পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি গলিতেই মাদকের লেনদেন চলে। চা দোকানিদের অনেকে বিষয়টি জানলেও মুখ খুলতে চান না।

Insaf World Banner 2

সরাসরি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বৌদ্ধ মন্দির সড়কের একটি দোকান ও পাশের গলির নিচতলায় দুই হিন্দু মহিলার তত্ত্বাবধানে চলছে মদ বিক্রি। সেখানে কেউ দাঁড়িয়ে মদ পান করছে, কেউ বোতলে ভরে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক চালক ও যাত্রী তিন চাকার গাড়ি রাস্তার পাশে রেখে মদের দোকানে ঢুকে পড়ছেন, ফলে যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস খান বলেন, “আমি মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।” তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা ও উপ-সহকারী পরিচালক সৌমেন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যের যোগসাজশেই এই অবৈধ ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের নীরবতা ও দুর্বল নজরদারির কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন প্রকাশ্যে লেনদেন করছে। ফলে কক্সবাজার শহরটি এখন মাদক ব্যবসার এক ‘ওপেন মার্কেট’-এ পরিণত হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :