ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত
- আপডেট সময় : ১১:০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
- / 245
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সম্প্রতি ইরাক সফরে জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইরান পুরোপুরি যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত, তবে দেশটি শান্তি চায়। গতকাল ইরাকের রাজধানী বাগদাদে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ইরান যুদ্ধকে ভয় পায় না, কিন্তু তারা যুদ্ধে জড়াতে চায় না বরং শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
আরাগচির এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে ইরানের সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপ ও ইসরাইলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইরানের সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে তারা কোনো ধরনের ‘রেডলাইন’ মেনে চলবে না। আরাগচি আরও উল্লেখ করেন যে, ইরান এবং গাজা ও লেবাননে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরান ইসরাইলের ওপর সাম্প্রতিক ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার মাধ্যমে ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হয়। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ইরানের এই পদক্ষেপের ভয়াবহ প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। গ্যালান্ট বলেন, এই হামলার প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ, সুনির্দিষ্ট এবং অভাবনীয়। ইরানের মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ নিয়ে ইরাকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আরাগচি বাগদাদ সফরে যান।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলি আল মুসাভি বলেন, আরাগচির এই সফর মূলত অস্ত্র ও সহিংসতা বন্ধ করে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি অংশ। এছাড়া আরাগচি কাতার, ওমান এবং সউদী আরবে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কাতারে তিনি গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেন এবং সউদী আরবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইরানের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি আসে এমন এক সময় যখন মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। তবে, ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা নিজেদের প্রতিরক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত, যদিও তারা যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী নয়। আরাগচির ভাষ্য অনুযায়ী, ইরান শান্তি চায় এবং তারা সশস্ত্র সংঘাত বন্ধ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।


















