পলাতক প্রার্থীরা অযোগ্য, ‘না’ ভোট ফেরাল সংশোধিত আরপিও
- আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
- / 28
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পলাতক আসামিদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছে না। একই সঙ্গে একক প্রার্থী থাকলে ভোটাররা এবার ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুমোদন করা হয়।

পলাতক প্রার্থীদের জন্য কঠোর বিধান
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, আদালত কর্তৃক পলাতক ঘোষণা পাওয়া কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন না। যাদের বিরুদ্ধে আদালত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ও তারা হাজির হননি—তাঁদেরই পলাতক হিসেবে গণ্য করা হবে।
প্রার্থীর আয়ের উৎস প্রকাশ বাধ্যতামূলক
নতুন আরপিও অনুযায়ী প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয়ের উৎস, সম্পত্তি ও আর্থিক বিবরণী হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে। এসব তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষ প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে।
জামানত ও ‘না’ ভোটের নতুন বিধান
প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি একক প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ২০১৪ সালের মতো ভোটবিহীন নির্বাচন ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
দলীয় প্রতীকে ভোট বাধ্যতামূলক
জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে। এতে ভোটাররা সহজেই বুঝতে পারবেন প্রার্থী কোন দলের প্রতিনিধি।
প্রবাসী ও কর্মকর্তাদের জন্য পোস্টাল ভোট
প্রবাসী বাংলাদেশি ও নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা এবার অনলাইনে নিবন্ধন করে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। ডাকযোগে ভোট পাঠানোর এ ব্যবস্থা প্রযুক্তি-নির্ভরভাবে চালু করা হবে।
অনুদান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ
রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে হলে তা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। অনুদানদাতাদের ট্যাক্স রিটার্নও জমা দিতে হবে।
ইভিএম বাদ, ভোট গণনায় সাংবাদিকরা থাকবেন
নতুন আরপিওতে ইভিএমের বিধান বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার সুযোগ যুক্ত করা হয়েছে, যা নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনবে।
ইসির হাতে নতুন ক্ষমতা
ভোটে অনিয়ম হলে প্রয়োজন মনে করলে নির্বাচন কমিশন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। আগের আইনে কেবল কেন্দ্রভিত্তিক ফল বাতিলের বিধান ছিল।




























